ড্রিপ মার্কেটিং!!!শুনেই থমকে গেলেন বুঝি?

এর আগে শোনা হয়নি তাই এই অবস্থা। আমি যখন প্রথম শুনেছিলাম আমিও আপনার মতই থমকে গিয়েছিলাম।

প্রত্যেকটা মার্কেটেই কনজিউমাররা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কোম্পানি থেকে নানা রকম টেক্সট, ইমেইল বা এড দেখে থাকে। আর এর মাধ্যমে প্রত্যেকটা ব্র্যান্ডই কাস্টমারের টপ অফ দ্যা মাইন্ডে থাকার চেষ্টা করে। আর এই টপ অফ দ্যা মাইন্ডে থাকার যে প্রসেস তার মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ড্রিপ মার্কেটিং। ড্রিপ মার্কেটিং মার্কেটারদের কে তাদের প্রোডাক্ট, সার্ভিস এবং স্পেশাল অফার গুলো সম্পর্কে কাস্টমার কে বারবার জানাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, ড্রিপ মার্কেটিং lifecycle emails কেও ইন্ডিকেট করে। মোট কথা কাস্টমারের Top of the Mind এ থাকার জন্য ড্রিপ মার্কেটিং করা হয় repetition and visibility এর মাধ্যমে। এখনো ক্লিয়ার নয়তো? চলুন আরেকটু গভীরে যাওয়া যায়..

ড্রিপ মার্কেটিং এর মাধ্যমে prospective customers এর কাছে মার্কেটিং মেটেরিয়াল পাঠানো হয়। প্রথম দিকে শুধুই ফ্লাইয়ার কিংবা হাতে ছাপানো হ্যান্ডবিল এর মাধ্যমে ড্রিপ মার্কেটিং করা হতো। কিন্তু এখন ডিজিটাল যুগে এসে তা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং এ কনভার্ট হয়েছে। ড্রিপ মার্কেটিং এর মাধ্যমে , মার্কেটাররা primarily টার্গেট কাস্টমারদের সাথে ডাইরেক্ট  মেইলের মাধ্যমে কানেক্ট হয়।

এখন আপনি কি জানেন ড্রিপ মার্কেটিং কী?, কিভাবে কাজ করে? এবং আপনার কোম্পানিতে কিভাবে কাজে লাগাতে পারেন? যদি না জেনে থাকেন তবে সাথেই থাকুন…

ড্রিপ মার্কেটিং কিভাবে কাজ করবে সেটা সম্পূর্ণ ই নির্ভর করে এটা কিভাবে execute হচ্ছে তার উপর। ড্রিপ মার্কেটিং এর প্রধান ৩ টা পার্ট হচ্ছে,

১. ই-মেইল

২. সোশ্যাল মিডিয়া

৩. ডিরেক্ট মেইল

ইমেইল ড্রিপ মার্কেটিং মূলত শুরু হয় অনলাইনে একটা ফরম পূরণের মাধ্যমে। এরপর থেকে কাস্টমার প্রতিনিয়ত অটোমেটিক বিভিন্ন মেইল পেতে শুরু করে। এই মেইলে মাঝে মাঝে কাস্টমারের নামও স্পেসিফিক ভাবে মেনশন করা থাকে। এতে তার পছন্দের বিষয়েই তাকে বার বার মেইল করা হয়।

যেমনঃ

“Hi Russel! Thank you for signing up to receive our weekly marketing newsletter.”

তাছাড়া ড্রিপ মার্কেটিং এর হাতিয়ার হিসেবে welcome messages কিংবা happy birthday wish ও হতে পারে। এই ব্যাপারটাকে behavior of a prospect বা  behavioral email ও বলা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্রিপ মার্কেটিং ধীরে ধীরে আরো কমন হয়ে উঠছে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে। এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা টেক্সট, ভিডিও, ফটো নানা মার্কেটিং এফোর্ট এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। যেমনঃ একটি টিভি চ্যানেলের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে তাদের বিভিন্ন শো এর নানা বিহাইন্ড দ্যা সিন, ফটো এবং গ্রাফিক্সের মাধ্যমে অডিয়েন্স excitement ধরে রাখে।

হাতে কলমে ডিজিটাল মার্কেটিং প্র‍্যাক্টিস করতে চান?

ড্রিপ মার্কেটিং এ ডিরেক্ট ম্যাসেজ লং টাইম ধরে ইউজ হয়ে আসছে। সময়ের সাথে সাথে ডিজিটাল প্রিন্টিং এবং সফটওয়্যার আপডেট হচ্ছে। যার ফলে ডিরেক্ট মেইলিং আরো সহজ, আপডেটেড এবং ম্যানেজেবল হয়ে উঠেছে। “law of 29” হল ড্রিপ মার্কেটিং এর ট্রেন্ডি একটা মেথড। অর্থাৎ, এক গবেষণায় দেখা গেছে একজন ওয়ার্ম কাস্টমার ২৯ বার একটা এড দেখার পর প্রোডাক্ট টি কেনার সিদ্ধান্ত নেন। অনেক সময় দেখা যায় কাস্টমার একটি প্রোডাক্ট কিনতে গিয়ে কার্টে এড করে রেখেছে কিন্ত আর কেনা হয়নি। তখন সেই Warm customer কে Hot customer এ পরিণত করার জন্য বিভিন্ন অফার সহকারে একটা মেইল দেয়া হয়। এই মেইলগুলোকে বলা হয় Abandon cart email.

এখন প্রশ্ন ড্রিপ মার্কেটিং করবেন কার কাছে? ড্রিপ মার্কেটিং করার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আমাকে সেই কাস্টমারের কাছেই মেইল করতে হবে একটা কাস্টমার যখনঃ

১. প্রোডাক্ট কিনতে গিয়ে কার্টে ফেলে রাখে।

২. আপনার কোনো অফারে কাস্টমার পার্টিসিপেট করে।

৩. কোনো অর্ডার করে।

৪. বহুদিন ধরে আপনার থেকে কেনাকাটা করেনা

এখন আমরা সকলে জেনে গেছি যে, ড্রিপ মার্কেটিং কি? এবার আসুন কিছু গল্প দেখে আসা যাক ড্রিপ মার্কেটিং এর।

একবার ডিজনি প্রত্যেক উইকে তার ওয়ার্ম অডিয়েন্সকে মেইল করা শুরু করলো যে সামনের সপ্তাহে কি কি নতুন আসছে যা “What to watch this week” নামে পরিচিত ছিল। এতে ডিজনি বার বার তাদের ট্রেন্ডিং কন্টেন্ট গুলোর রিমাইন্ডার দিত পাশাপাশি বিহাইন্ড দ্যা সিন গুলোও দিত। এতে তারা সবসময় অডিয়েন্সের টপ অফ দ্যা মাইন্ডে থাকতো।

এরপরে আরেকটা ড্রিপ মার্কেটিং এর এক্সাম্পল হল, নিউইয়র্ক টাইমসের “Email to Win Back Customers” ইভেন্টটি। অনেকে আছে যারা নিউ ইয়র্ক টাইমসের মান্থলি সাবস্ক্রিপশন অফ করে দিসে মান্থলি কস্ট কামানোর জন্য। কিন্ত, এখনো তারা নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে ১$ এক সপ্তাহের সাবস্ক্রিপশনের অফার দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে ড্রিপ মার্কেটিং এর মাধ্যমে শুধু নতুন লিড নয় পুরনো লিডকেও আবার হট কাস্টমারে ট্রান্সফার করা যায়।

ড্রিপ মার্কেটিং হল আপনার বর্তমান কাস্টমারকে অলওয়েজ এংগেজড রাখার একটা অসাধারণ উপায়। একটা সাক্সেসফুল ড্রিপ মার্কেটিং এর মেইলে ইম্পর্ট্যান্ট বিষয়গুলো Mapped to বা keyed off করে দিতে হবে। এক্টিভ কাস্টমারের কাছে রিসেল করা অর্থাৎ repeat purchase এর জন্যই মূলত ড্রিপ মার্কেটিং কাজ করে। ড্রিপ মার্কেটিং এর আপনার brand value reinforce হয়। তাছাড়া নিয়মিত বিভিন্ন অফার দেয়ার মাধ্যমে পুরনো কাস্টমারকেও ফেরৎ আনা যায়। 

সো, এবার ড্রিপ মার্কেটিং কে এক্সিকিউশন করতে নেমে যান এখুনি।

যদি হাতে কলমে কাজ শিখে নিজেকে মার্কেটে স্টাবলিশ করতে চান তবে এখনি এনরোল করে ফেলুন আমার প্রিমিয়াম কোর্স:

​​​​​”Digital Marketing RoadMap” এ…

Share:

"ইফেক্টিভ ফানেল স্ট্রেটিজি" ফ্রি ইবুকটি ডাউনলোড করতে নিচের ফর্মটি ফিলাপ করুন

আরো ব্লগ

লিড জেনারেশন করলে অডিয়েন্স থাকবে হাতের মুঠোয়!!

আমরা যারা অনলাইনে বিজনেস করি আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা ম্যাসেঞ্জারে ক্লায়েন্টের সাথে ডিল ক্লোজ করতে পারি না। আমরা ম্যাসেজ তো পাই হাজারে

ভিসিবিলিটি ইজ মোর ইম্পরটেন্ট দ্যান এভেইলেবেলিটি

চা খেতে বের হয়েছিলাম। প্রথম চুমুক টা দিতেই অপর পাশের মুদি দোকানে চোখ গেলো। একজন লোক শার্ট প্যান্ট ইন করে তেলের বোতল গোছাচ্ছে। মোটামুটি ১৫/২০

লগরিদম ভাল না লাগলেও আপনাকে এলগরিদম জানাই লাগবে!!

আমরা যারা ফেসবুকের এডভারটাইজমেন্ট নিয়ে কাজ করি আমাদের সব থেকে বড় প্রব্লেমটা কি জানেন?  প্রব্লেমটা হলো আমরা লাখ লাখ টাকার এড  ফেসবুকে ঠিকই চালাই কিন্তু

আই লেভেল ইজ বায় লেভেল!

ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে, Where there is will, There is a way. আর তাই কাস্টমারের সোস্যাল বিহেভিয়ার বা পারচেজ বিহেভিয়ারে প্রভাব ফেলতে দিনের পর দিন