মার্কেটপ্লেসের বাইরে কেন ক্লায়েন্ট খোঁজা প্রয়োজন?

অনলাইনে ইনকামের অন্যতম একটা মাধম হল ফ্রিল্যান্সিং সাইট৷ অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে নিয়মিত সফল হচ্ছে। কিন্ত, অনেক সফল ব্যাক্তিও মার্কেটপ্লেসে হুট করে হারিয়ে যাচ্ছে। কারণ, একাউন্ট ডিসেবল হয়ে যাওয়া। 

সবচেয়ে মজার যে বিষয় সেটা হল মার্কেটপ্লেসের বাহিরে আপনার আগে থেকেই ক্লায়েন্ট খোজা উচিত নয়তো পরে হুট করে আপ্নাকেও উধাও হয়ে যেতে হবে। সবচেয়ে, ট্রিকি ফ্রিল্যান্সার যারা তারা অনলাইনে একটি মাত্র একাউন্ট না রেখে তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাধিক একাউন্ট খুলে থাকে। সো, মার্কেট প্লেসের বাহিরে এসে ফ্রিল্যান্সিং জব আপনার কেন খোজা উচিত তা নিয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কিছু কারণ আমি আপনাদের বলব।

বেশিরভাগ বায়ারদের ই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে কোনো নলেজ না থাকায় তারা একজন রিমোট ওয়ার্কার হায়ার করে থাকে। কোম্পানির অউনার এর থেকে জব পাওয়ার এটা একটা অসাধারণ ট্রিক্স। কেননা, কোম্পানি ওনার গুলো ম্যানেজমেন্ট এর কাজে বিজি থাকে। সো, তাদের বার বার নতুন ক্লায়েন্ট নেয়া সম্ভব হয়না৷ তাই আপনি যদি ঠিকঠাক সার্ভিস দিতে পারেন তবে এই রিমোট জব গুলো পার্মানেন্ট হয়ে যায়।

অন্যদিকে মার্কেটপ্লেসে যেসব জব গুলো পোস্ট করা হয় এগুলো মূলত পোস্ট করে থাকে বিভিন্ন এজেন্সি এবং ফ্রিল্যান্সাররা। সো, তারা হাতে কোনো প্রোফিট না রেখে কখনো আপনাকে হায়ার করবে না। আসুন এবার একটা গল্প শোনা যাক,

ধরুন একটা এজেন্সি ৯৯৭$ এর বিনিময়ে একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। কিন্ত, দেখা গেছে এই প্রজেক্টটি অই এজেন্সি আবার আপনাকে দিয়েই মাত্র ৪৯৯$ এর মধ্যেই কম্পিলিট করিয়ে নিত। সো, আপনি যদি কোনো ভাবে এই প্রজেক্টটি কোম্পানি ওউনার এর কাছে থেকে নিতে পারেন তবে আরো বেশি পে পাবেন। 

এবার মার্কেটপ্লেসের বাহিরে ক্লায়েন্ট খোজা এই কারণে দরকার যে, আপনি যদিও নাম ফ্রিল্যান্সার। কিন্ত, মার্কেটপ্লেসে আপনি কিন্ত মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারছেন না। কারণ, সিম্পল একটা ভুলের কারণে আপনার একাউন্ট হতে পারে সাসপেন্ডেড। তাছাড়া মার্কেটপ্লেসগুলো বায়ারদেরকে সেলারদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বায়ার যদি আপনার উপর রাগ করে একটা খারাপ রিভিউ দিয়ে দেয় তাহলে আপনার একাউন্টে বেশ ঝামেলা পোহাতে হবে।

হাতে কলমে ডিজিটাল মার্কেটিং প্র‍্যাক্টিস করতে চান?

এজন্য, মার্কেটপ্লেসের বাহিরেও ক্লায়েন্ট খোজা প্রয়োজন। তবে, দিনশেষে একটা সন্দেহ থেকেই যায় যে ট্রাস্টেড ক্লায়েন্ট মার্কেটের বাহিরে কিভাবে পাবেন বা সেফলি পেমেন্ট পাবেন এটার গ্যারান্টি কি? এজন্য এখন আমি আপনাদের সাথে প্রুভেন একটি টেকনিক শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ট্রাস্টেড ক্লায়েন্ট খুজে বের করবেন। 

ধরুন, আমি Green Ediana সম্পর্কে জানতে চাই। আমি প্রথমেই এই নামটি গুগল করব। এরপর দেখা যাবে তার সম্পর্কে যত তথ্য আছে তা সব আমাকে প্রোভাইড করছে। সে কোথায় কাজ করে, তার কি কি কোম্পানি আছে, আগে কোথায় কাজ করেছে, কোথায় থাকে এমন সব তথ্য পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ক্লায়েন্ট কতটা ট্রাস্টেড।

আরেকটা টেকনিক হল, আপনি কিছু টাকা এডভান্স নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন কিংবা ছোট ছোট কাজ করে দিয়ে তার পেমেন্ট নিয়ে দেখতে পারেন যে ক্লায়েন্ট কতটা ট্রাস্টেড। যদি সত্যিকারের ক্লায়েন্ট হয়েই থাকে তবে কেউ চাইবেও না যে একজন স্কিলফুল ওয়ার্কার কে হাতছাড়া করতে।

এবার আসুন আরো ৫ টি ট্রিক্স শেয়ার করি কিভাবে মার্কেটপ্লেসের বাহিরে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন,

১. আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমেঃ

আপনাকে কিংবা আপানার কোম্পানিকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য পারসোনাল ওয়েবসাইট একটি অন্যতম বেস্ট ওয়ে। প্রোফেশনাল ক্লায়েন্টরা সার্ভিস কেনার জন্য গুগলে ডিরেক্ট প্রয়োজনীয় টপিক লিখে সার্চ করে ওয়ার্কার হায়ার করে থাকেন। ধরুন, কারো গ্রাফিক্স ডিজাইনার লাগবে। সো, সে গুগলে সার্চ করে, “Graphics designer in Bangladesh”. তাই আপনার নিশ ওয়াইজ একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে এসইও করে সহজেই কাজ পেতে পারেন। 

২. লিংকডিনের মাধ্যমেঃ

লিংকডিনকে বলা হয় প্রোফেশনালদের সোশ্যাল মিডিয়া। প্রায় ৯৯.৯% ইন্টারনেট বিজনেস এর ই লিংকডইনে একাউন্ট রয়েছে। সো, খুব সহজেই আপনি কোম্পানির সিইওদের সাথে কানেক্ট হতে পারবেন। সো, লিংকডইনে আপনার একটি প্রোফেশনালি গোছানো একাউন্ট থাকাটা খুব জরুরি। আপনার যদি লিংকডইন এ প্রোফেশনাল একাউন্ট না থাকে তবে আমার ব্লগ থেকে পড়ে নিতে পারেন সহজেই।

৩. ফেসবুকের মাধ্যমে

ফেসবুক হল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে জব পাওয়ার জন্য আরেকটি বিশেষ মাধ্যম। কিন্ত, আপনাকে জানতে হবে কিছু বিশেষ টেকনিক। তাছাড়া ইন্টারনেট ইউজ করে কিন্ত ফেসবুক চালায় না এমন মানুষ খুজে পাওয়া টাফ। কিন্ত, একটা প্রশ্ন কিন্ত রয়েই যায়। তা হল, আপনার তো আর সব সিইও এর সাথে এড নেই তাহলে কিভাবে জব পাবেন বা তাদের সাথে কানেক্ট হবে। ব্যাপারটা খুব সিম্পল, আপনি জাস্ট যেই জব খুজছেন সেটা লিখে সার্চবারে সার্চ দেন সহজেই পেয়ে যাবেন। যেমনঃ যদি এস.ই.ও লিখে সার্চ করেন তাহলে সহজেই এই রিলেটেড বিভিন্ন জব পোস্ট পেয়ে যাবেন।

৪. টুইটারের মাধ্যমেঃ

টুইটারকে বলা হয় সেলিব্রেটিদের প্লাটফর্ম। এখানে অনেক মানুষই প্রতিদিন নানা জব পোস্ট করে থাকে। এক্ষেত্রেও অনেকটা ফেসবুকের মত আপনি জাস্ট সার্চবার ইউজ করে সহজেই একটি জব পেয়ে যেতে পারেন।

৫. ইউটিউবের মাধ্যমেঃ

আপনি ভাবছেন ইউটিউব তো ভিডিও দেখার জায়গা এখানে জব আসবে কোথা থেকে। কিন্ত, আজ আমি আপনাদেরকে একটি সিক্রেট টিপস শেয়ার করব। যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ইউটিউবের মাধ্যমেও ক্লায়েন্ট পাবেন। আপনি যেই রিলেটেড কাজ করেন। সেই রিলেটেড বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপ্লোড দিয়ে এস.ই.ও করুন। এতে আপনার ভিডিও দেখে তার সমস্যার সমাধান না হকল তিনি আপনাকেই নক দিবেন সার্ভিসের জন্য। 

উপরে আমি ব্যাক্তিগত কিছু ট্রিক্স শেয়ার করেছি যা মার্কেটপ্লেসের বাহিরে জব পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী। তবে, নিজের ট্রাস্টমেস শো করে মার্কেটের বাহিরে কাজ পাওয়ার অন্যতম সিক্রেট হল নিজের একটা ওয়েবসাইট থাকা। সো, কাজে নেমে যান এখুনি।

যদি হাতে কলমে কাজ শিখে নিজেকে মার্কেটে স্টাবলিশ করতে চান তবে এখনি এনরোল করে ফেলুন আমার প্রিমিয়াম কোর্স:

​​​​​”Digital Marketing RoadMap” এ…

Share:

"ইফেক্টিভ ফানেল স্ট্রেটিজি" ফ্রি ইবুকটি ডাউনলোড করতে নিচের ফর্মটি ফিলাপ করুন

আরো ব্লগ

লিড জেনারেশন করলে অডিয়েন্স থাকবে হাতের মুঠোয়!!

আমরা যারা অনলাইনে বিজনেস করি আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা ম্যাসেঞ্জারে ক্লায়েন্টের সাথে ডিল ক্লোজ করতে পারি না। আমরা ম্যাসেজ তো পাই হাজারে

ভিসিবিলিটি ইজ মোর ইম্পরটেন্ট দ্যান এভেইলেবেলিটি

চা খেতে বের হয়েছিলাম। প্রথম চুমুক টা দিতেই অপর পাশের মুদি দোকানে চোখ গেলো। একজন লোক শার্ট প্যান্ট ইন করে তেলের বোতল গোছাচ্ছে। মোটামুটি ১৫/২০

লগরিদম ভাল না লাগলেও আপনাকে এলগরিদম জানাই লাগবে!!

আমরা যারা ফেসবুকের এডভারটাইজমেন্ট নিয়ে কাজ করি আমাদের সব থেকে বড় প্রব্লেমটা কি জানেন?  প্রব্লেমটা হলো আমরা লাখ লাখ টাকার এড  ফেসবুকে ঠিকই চালাই কিন্তু

আই লেভেল ইজ বায় লেভেল!

ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে, Where there is will, There is a way. আর তাই কাস্টমারের সোস্যাল বিহেভিয়ার বা পারচেজ বিহেভিয়ারে প্রভাব ফেলতে দিনের পর দিন