আই লেভেল ইজ বায় লেভেল!

ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে, Where there is will, There is a way. আর তাই কাস্টমারের সোস্যাল বিহেভিয়ার বা পারচেজ বিহেভিয়ারে প্রভাব ফেলতে দিনের পর দিন মার্কেটাররা কাস্টমারের এই willpower এ কিভাবে trigger করা যায় সেটা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। 

একটা গবেষনায় দেখা গিয়েছিলো যে সকল প্রোডাক্টের প্রাইস শেষ হয় ৯ দিয়ে বা ৫ দিয়ে সেই প্রোডাক্টের প্রতি কাস্টমারের আগ্রহ থাকে বেশি। আর তাই সুপার শপ গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাউন্ড প্রাইসিং এভয়েড করে এই Odd প্রাইসিং দিয়ে নিজেদের পজিশনিং ক্রিয়েট করে।

মার্কেটিং এ আরো একটা কথা আছে, Eye level is buy level. আর এটার মোক্ষম প্রমাণ মিলবে একটা সুপার শপে গেলেই। আপনি যেই রেকের সামনেই যাবেন দেখবেন আই লেভেলে সেই প্রোডাক্ট গুলোই রাখা হয় যেগুলা কিছুটা দামী এবং যেগুলোতে খানিকটা হাই মার্জিন রয়েছে।

আলো মানেই আকর্ষণ, তাই সব গুলো রেকেই দেখবেন অনেক বেশি লাইটিং করে রাখা হয় যেনো চোখ শুধু প্রোডাক্টেই যায়। আরো একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, সুপারশপ গুলোতে কখনো কোন ঘড়ি রাখা হয় না, যেনো আপনি সময় সম্পর্কে কোন ধারনাই না রাখতে পারেন। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে ও যেনো আপনার বাসায় যাবার তাড়া না আসে।

বলুন তো সুপারশপে বাস্কেট গুলো কেন ধরিয়ে দেয় কাস্টমারের হাতে? মোটে ও কিন্তু প্রোডাক্ট বহন করার সুবিধার্থে না, বরং লজ্জায় ফেলে দিতে। এতো বড় একটা বাস্কেট অথচ কিনলাম খালি একটা শ্যাম্পু? এহহহ মানুষ কি বলবে? ব্যাস লজ্জায় পড়ে আরো দুই চারটা প্রোডাক্ট কিনেই নিলেন।

বাচ্চাকে নিয়ে হাঁটছেন হঠাৎ দেখবেন আপনার বাচ্চা হাতে কিছু চকোলেট তুলে নিয়েছে। কারণ চকোলেট গুলা দেখবেন সব সময় একটু নিচে করেই রাখা হয়, কারণ বাচ্চাদের সাইজ তো ২-৩ ফুটের মধ্যেই হয়ে থাকে। 

হাতে কলমে ডিজিটাল মার্কেটিং প্র‍্যাক্টিস করতে চান?

একজন কাস্টমার মূলত কি কিনতে যায় সুপারশপে? বেসিক প্রোডাক্ট, যেমনঃ চাল, ডাল, আটা, ময়দা।  আর এই প্রোডাক্ট গুলোকেই এন্ট্রি গেট থেকে কিছুটা দূরে রাখা হয় যেখানে যেতে দারুণ দারুণ ঘ্রাণ আসে বা দারুণ সব আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট চোখে পরে। আর তাই তো আমরা মাঝে মাঝে বেসিক জিনিস পত্র কিনতে গিয়ে so-called জিনিসপত্র ও তুলে নিয়ে চলে আসি। এছাড়া ও বেশির ভাগ সুপারশপেই ঢুকতে হয় এক গেট দিয়ে আর বের হতে হয় অন্য গেট দিয়ে। এর মানে পুরো শপ আপনাকে ঘুরতেই হবে। 

আপনি কি কখনো সুপারশপ গুলোতে সেল্ফ এর পজিশনিং গুলো খেয়াল করেছেন? চোখ বন্ধ করে আপনার শেষ সুপারশপ ভিসিটের দৃশ্যটি আবারো কল্পনা করুন। কল্পনায় দেখতে পাবেন আপনি এক র‍্যাক দিয়ে ঢুকেছেন তারপর আবার ডানে ঘুরে আরেক র‍্যাক দিয়ে বের হয়েছেন। অর্থাৎ একটা zigzag রোড ম্যাপ ক্রিয়েট করে ফেলা হয় যেনো আপনি কম বেশি সব ক্যাটাগরি প্রোডাক্টের আশ পাশ দিয়ে হেঁটে যান।

বড় সুপারশপ বা শোরুম গুলোতে কখনো ঘড়ি বা মেয়েদের অলংকার কিনতে গিয়েছেন? একটু খেয়াল করলেই দেখবেন ওই সেকশান গুলো একটু U শেপ এর হয় যেন এ পাশ থেকে দেখতে দেখতে পুরোটা দেখা হয়ে গেলে ওপাশ থেকে আবার দেখার লোভ জাগে। 

কেনাকাটা শেষ, বিল দিবেন? কাউন্টার এর ঠিক পাশেই দেখবেন আবারো বাচ্চাদের চকোলেট। সাথে বাচ্চা থাকবে আর দুই একটা চকোলেট নিবে না সে কি হয়?

যদি হাতে কলমে কাজ শিখে নিজেকে মার্কেটে স্টাবলিশ করতে চান তবে এখনি এনরোল করে ফেলুন আমার প্রিমিয়াম কোর্স:

​​​​​”Digital Marketing RoadMap” এ…

Share:

"ইফেক্টিভ ফানেল স্ট্রেটিজি" ফ্রি ইবুকটি ডাউনলোড করতে নিচের ফর্মটি ফিলাপ করুন

আরো ব্লগ

লিড জেনারেশন করলে অডিয়েন্স থাকবে হাতের মুঠোয়!!

আমরা যারা অনলাইনে বিজনেস করি আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা ম্যাসেঞ্জারে ক্লায়েন্টের সাথে ডিল ক্লোজ করতে পারি না। আমরা ম্যাসেজ তো পাই হাজারে

ভিসিবিলিটি ইজ মোর ইম্পরটেন্ট দ্যান এভেইলেবেলিটি

চা খেতে বের হয়েছিলাম। প্রথম চুমুক টা দিতেই অপর পাশের মুদি দোকানে চোখ গেলো। একজন লোক শার্ট প্যান্ট ইন করে তেলের বোতল গোছাচ্ছে। মোটামুটি ১৫/২০

লগরিদম ভাল না লাগলেও আপনাকে এলগরিদম জানাই লাগবে!!

আমরা যারা ফেসবুকের এডভারটাইজমেন্ট নিয়ে কাজ করি আমাদের সব থেকে বড় প্রব্লেমটা কি জানেন?  প্রব্লেমটা হলো আমরা লাখ লাখ টাকার এড  ফেসবুকে ঠিকই চালাই কিন্তু

যেভাবে লিংকডিন প্রোফাইল গুছালে ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যাবে!

আপনি হয়তো ভাবছেন লিংকডিন প্রোফাইল গুছিয়ে কি হবে কিংবা লিংকডিন প্রোফাইল এতদিন তো প্রয়োজন পড়েনি এখনই বা কেন প্রয়োজন হবে অথবা কে দেখে এই লিংকডিন