টাকা ছাড়াও যেভাবে রিচ হয়!

ফেসবুক যখন তৈরী করা হয়েছিলো তখন সেটা মূলত কমিউনিকেশন এর জন্য তৈরী করা হয়েছিলো কিন্ত বর্তমানে ফেসবুক যেমন কমিউনিকেশনে স্মুথ, তেমনি বিজনেস গ্রো এর জন্যও পার্ফেক্ট একটা প্লাটফর্ম। 

ফেসবুকে বর্তমানে ৪ বিলিয়ন এক্টিভ সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার আছে। মজার ব্যাপার হল, আপনি  একটা পোস্ট করলে আপনার টোটাল ফলোয়ার থেকে মাত্র ৫% এর কাছে রিচ হয়। প্রতি মিনিটে ফেসবুকে প্রায় ৩,০০,০০০ পোস্ট এবং ৫,০০,০০০ কমেন্ট আপ্লোড হচ্ছে। এই কারণে অর্গানিক রিচ ধীরে ধীরে অনেক কম্পিটিটিভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি ভাল কন্টেন্ট না বানালে অর্গানিক রিচের দৌড়ে হেরে যাবেন!

যেহেতু আপনি এই ব্লগটি পড়তে এসেছেন সো ধরে নেই যে আপনি অনলাইনে বিজনেস করেন এবং আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে সেখানে থেকে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সেল করেন। সো, আপনাকে নিয়মিত আপনার পেজের ফ্যানদের এংগেজ করার দরকার পড়ে। আপনি আরও চান যে শুধুমাত্র ফ্যান, ফলোয়ার নয় এর বাহিরেও যাদের ফেসবুকে আছে  তারা সবাই  আপনার বিজনেস বা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানুক। 

ফেসবুকে সবাইকে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানানোর ২টা ওয়ে আছে। 

১. পেইড মার্কেটিং 

২. অর্গানিক মার্কেটিং

Brafton এর মতে,

Anything you don’t spend money on directly – blog posts, case studies, guest posts, unpaid tweets and Facebook updates – falls under the umbrella of organic marketing.

সহজ কথায়, ফ্রিতে মার্কেটিং করার ওয়েকেই অর্গানিক মার্কেটিং বলে। অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে যে মার্কেটিং করা হয় তাকে পেইড মার্কেটিং বলে। 

কিন্তু মার্কেটিং শুনলেই নিশ্চয়ই আপনার মাথায় আসে! “ওরে বাবা, মার্কেটিং তো অনেক টাকা-পয়সার ব্যাপার।” 

পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানি স্পেন্ড করে বা বুষ্টিং করে আপনার কনটেন্ট গুলো অডিয়েন্সের কাছে পৌছে দিতে পারেন। অপরদিকে অর্গানিক মার্কেটিংকে আমরা বলতে পারি ন্যাচারাল ওয়েতে মার্কেটিং। অর্থাৎ কোন ধরনের মানি স্পেন্ড করা ছাড়াই আপনার কনটেন্ট  সবাই দেখবে এবং সবার কাছে আপনার কনটেন্টগুলো পৌঁছে যাবে। 

তবে এই অর্গানিক মার্কেটিং কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। আপনার পোস্টে কি পরিমাণ ডেটা আছে অথবা কতটুক ইম্পর্টেন্ট তার উপর নির্ভর করে মানুষ আপনার পোস্টটি দেখে দাঁড়ায় এবং লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়। এতে করে অন্যরাও এংগেজড হয় এবং তারাও আপনার কন্টেন্ট দেখে দাড়ায় এবং একই ভাবে লাইক, কমেন্ট শেয়ার করে। আর এভাবেই শুরু হয় অর্গানিক মার্কেটিং এর খেলা। আর ফেসবুক হয়ে ওঠে আপনার EDC বা Effective Distribution Channel. যেখানে প্রতিনিয়ত আপনি ভ্যালু এড করতে থাকেন।

হাতে কলমে ডিজিটাল মার্কেটিং প্র‍্যাক্টিস করতে চান?

এখন হয়তো আপনার মাথায় নিশ্চয়ই একটা চিন্তা ঢুকে গেসে যে কিভাবে অর্গানিক মার্কেটিং করা যায়, যার ফলে মানুষ দেখে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করবে! তাই না? কিন্ত, সমস্যা হল আপনি কীভাবে জানাবেন? তাও আবার ফ্রিতে!!! এই ফ্রিতে মানুষকে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানানোকেই মূলত বলে অর্গানিক মার্কেটিং। চলুন আজকে এই একটা ব্লগেই শিখে ফেলি ফ্রিতেই যেভাবে ফেসবুকে অর্গানিক মার্কেটিং করবেন..

১) ভিডিও আপলোডিং : আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড ভিডিও আপলোড করে সহজে অর্গানিক মার্কেটিং করতে পারেন। কারণ ভিজুয়ালাইজ সবকিছুই অডিয়েন্স বেশি দেখে যেমনঃ টেক্সটের চাইতে কোনো ফটো বা ভিডিওতে দেখবেন মানুষ বেশি এংগেইজ হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর কনটেন্ট নিয়মিত আপ্লোড করতে হবে এবং দিনশেষে একটা প্রশ্নের উত্তর খুজবেন যে, কেন মানুষ আপনার ভিডিওটি দেখবে? আমি ২টা কারণ বলে দিচ্ছি চুপি চুপি দেখে নিনঃ

★স্টোরি টেলিং করুনঃ অডিয়েন্সকে ভিডিওর মাধ্যমে স্টোরি টেলিং করুন। গল্পটি হতে হবে অবশ্যই অথেনটিক, জেনুইন এবং অডিয়েন্সকে ফিল দিতে হবে যে তারাও আপনার এই স্টোরির একটা অংশ। সেটা হতে পারে আপনার কোম্পানির কোনো বিহাইন্ড দ্যা সিন ভিডিও কিংবা আপনার কোম্পানির কোনো একটা পার্টের ওয়ার্কিং প্রসেস। এরফলে কাস্টমার এমন ফিল পাবে যে সে আপনার কোম্পানির কাস্টমারের চাইতেও বেশি কিছু। এতে করে সে আরো বেশি এংগেজড হবে।

★কাস্টমার রিভিউ আপ্লোড করুনঃ অডিয়েন্স সবসময়ই পছন্দ করবে যে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিচার করা হোক। তবে, সেটা যদি হয় কোনো ব্রান্ড পেইজ থেকে তবে তো আহ্লাদে আটখানা। বিভিন্ন লয়াল কাস্টমার থেকে যখন রিভিউ নিয়ে আপ্লোড করবেন। তখন নতুন কেউ কেনার আগে তার জন্য হেল্পফুল হবে কারণ কেউ কিছু কেনার আগে দেখতে চায় অল্রেডি যারা পারচেজ করেছে তারা কি বলছে। আর সাথে আপনার প্রোডাক্টের টিউটোরিয়াল এবং কাস্টমারের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। এতে তারা আরো বেশি এংগেজড হবে।

৩) কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট : কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট আপনার অর্গানিক রিচ বাড়ানোর জন্য খুবই ইম্পর্ট্যান্ট। কন্টেন্ট যেকোনো কিছুই হতে পারে। ছবি অথবা কোন লিখা যা মানুষকে আপনার পোষ্টের প্রতি ইন্টারেস্ট জাগাবে। অনেকে একটা ভুল করে সেটা হল তারা ইমেজে CTA- Call To Action বা Link ব্যবহার না করে কমেন্টে দিয়ে থাকে। এর৷ ফলে কেউ যখন পোস্টটি শেয়ার দেয় তখন আর সেই CTA এর কোনো ভ্যালু থাকে না। তাছাড়া ফেসবুকে শুধু টেক্সট পোস্টের চাইতে ইমেজ ইনক্লুডেড পোস্টের রিচ ২-৩ গুণ বেশি থাকে। চেষ্টা করবেন আপনার কন্টেন্টকে ইউনিকভাবে উপস্থাপন করাতে তাহলে সহজেই রিচ বাড়বে। কিন্ত প্রশ্ন কিভাবে? 

আসেন, একটা গল্প শুনি- একবার আমি ফেসবুক মার্কেটিং এর কোর্স সেল করার জন্য এজ ইউজুয়াল ইন্সট্রাক্টরের ছবি দিয়ে, কোর্সের ডিটেইলস এবং প্রাইস দিয়ে একটা পোস্ট করি যাতে মানুষ বেশি একটা ইন্টারেস্ট দেখায় নায়। কিন্ত, আমি যখন সেটাকে কপি রাইটিং করে হিউমার টাইপ একটা কন্টেন্ট বানাই। উল্টা ভাবে,  স্পাইডারম্যানের ছবি ঝুলাই দিয়ে কপি লিখে দিয়েছিলাম “ব্রো, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান?” তখন অডিয়েন্স এংগেজড হয়েছিল প্রচুর এবং তারা ইন্টারেস্টেড হয়ে রেস্পন্স করেছিল। এই ব্যাপারটাকে বলা হয় “Clickbait” অর্থাৎ যেই দেখবে ক্লিক করতে মন চাইবে।

৪) অফার দেয়া: আপনার পেইজ এংগেজমেন্ট বাড়ানোর একটা গ্রেট আইডিয়া হলো ফ্যান-ফলোয়ারদেরকে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড অফার দেওয়া। এই অফার গুলো আপনার প্রোডাক্ট এর উপর হতে পারে আবার অন্য কোন কুইজ এর উপর ও হতে পারে। এতে করে আপনার পেজের লাইক কমেন্ট ও শেয়ার বাড়তে থাকবে। অফার যেন শুধুই অফার না হয়। সাথে যেন ইমোশনও থাকে। 

যেমনঃ আমার একটা এডুটেক ইন্ডাস্ট্রিতে গতবছর “বাবা দিবসে” একটা অফার দিয়েছিলাম যে আজকের দিনে বাবার পকেটের টাকা বাচাতে ১ টার দামে ২ টা কোর্স কিনুন। এতে করে হিউজ একটা সেল পেয়েছিলাম। কিন্ত, আমি যদি নরমালি বলতাম বাবা দিবসে ৫০% ডিসকাউন্ট কেউ কিন্ত পাত্তা দিত না। অফার কিন্ত, সেম অফার ই দিলাম। বাট, একটু ইমোশন এড করায় মানুষ কানেক্ট হল এবং ফলাফল হিউজ সেল।

৫) ইউনিক কন্টেন্ট : আপনি শুধু সেল পোস্ট করলে কাস্টমার বিরক্ত হয়ে যাবে। তাই শুধু সেল পোস্ট না করে সাথে ইউনিক কিছু পোস্টও করতে পারেন। কিন্ত জাতীয় প্রশ্ন “কি পোস্ট করব?” আসুন দেখাই কি পোস্ট করবেন। 

★আপনি আপনার ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড মার্কেটে ট্রেন্ডিং যা আছে তা নিয়ে পোস্ট করতে পারেন। এতে সবাই ট্রেন্ডিং যেকোনো কিছুর খোজে প্রথমেই আপনার কাছে আসবে।

★আপনার প্রোডাক্টের USP নিয়ে কথা বলতে পারেন।

★ইন্সপায়ারেশনাল কোটস আপ্লোড দিতে পারেন।

★মজার কিছু পোস্ট করে “ক্যাপশন দিজ” কন্টেন্ট আপ্লোড করতে পারেন।

★বিভিন্ন কন্টেস্ট অর্গানাইজ করতে পারেন।

৬. সময় এবং সাইজ মেইনটেইন করাঃ 

ফেসবুক পোস্টে রিচ পাওয়ার জন্য টাইম মেইনটেইন করা এবং সাইজ মেইনটেইন করা খুবই ইম্পর্ট্যান্ট। ফেসবুক এড পোস্টের সাইজ হবে- ১০৮০×১০৮০ পিক্সেল, লিংক পোস্টের- ১২০০×৬২৮ পিক্সেল এবং ফেসবুক স্টোরি হবে ১০৮০×১৯২০ পিক্সেল। সাইজ ঠিক না থাকলে ফেসবুক রিচ হয় না প্রোপারলি।

আর সময়ের জন্য আপনাকে এনালাইটিকস চেক দিতে হবে কখন অডিয়েন্স বেশি এক্টিভ থাকে। যেমনঃ ধরি, আপনার অডিয়েন্স ঘুম থেকে উঠে সকাল ৯ টায় বা বেশি এক্টিভ থাকে সকাল ৯ টায়। কিন্ত, আপনি যদি পোস্ট করেন ভোর ৬ টায় তাহলে কিন্ত আপনার পোস্টটি যতই এট্রাক্টিভ হোক না কেন রিচ পাবেন না। এক্ষেত্রে অডিয়েন্সের Top of the timeline এ থাকতে হলে সকাল ৮ঃ৫৫ তেই পোস্ট করতে হবে।

এখন তো একটা প্রশ্ন রয়েই যায় যে, সপ্তাহে কয়টা পোস্ট করবেন। এতে আপনাকে অডিয়েন্সের টেস্ট বুঝতে হবে। প্রথমে এক্সপেরিমেন্ট চালাতে হবে যে অডিয়েন্স কয়টা পোস্টে কম্ফোর্ট ফিল করে। এক্ষেত্রে আপনি ২ সপ্তাহ করে ৩ টা স্লট বানাতে পারেন। ১ম স্লটে ২ সপ্তাহে ৫+৫=১০ টা, ২য় স্লটে ১০+১০=২০ টা এবং ৩য় স্লটে ১৫+১৫=৩০ টা পোস্ট করে দেন এনালাইসিস করতে হবে যে কোন সপ্তাহের পোস্ট গুলোতে এংগেইজমেন্ট রেট বেশি৷ বাকিটা আপনিই বুঝে যাবেন।

৭. এভারগ্রিন কন্টেন্ট ব্যবহার করাঃ 

আসুন লাকি সেভেন দিয়ে আজকে শেষ করি। লাকি সেভেন শিখিয়ে দিচ্ছি অসাধারণ একটা টিপস। আপনি আপনার এভারগ্রিন কন্টেন্ট অর্থাৎ যেসব কন্টেন্ট আগে হিট হয়েছে সেগুলো আবার পোস্ট করুন। তবে, এখানে একটা কিন্ত আছে। আগের বার হিট হওয়ার আগে হয়তো আপনি জানতে না যে এইটা হিট হতে যাচ্ছে। এখন ভাবছেন, Copywriting টা আরেকটু ক্যাচি হতে পারতো, পোস্টিং টা সকাল ৮টায় না হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় হতে পারত। সো, এগুলো চেঞ্জ করে আপনি আবার সেই কন্টেন্ট গুলো রিপোস্টিং করে হয়তো আরো একবার বাজিমাত করে ফেলতে পারেন। একেই মূলত বলা হয় Evergreen Content Marketing

মোট কথা আপনি যদি আপনার ব্যবসায় সফলতা আনতে চান তাহলে আপনার গ্রাহকদের সাথে আপনার যোগাযোগ ভালো থাকতে হবে। আর এই যোগাযোগ বা এংগেইজমেন্ট বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো উপযুক্ত এবং সময়োপযোগী কনটেন্ট তৈরী করা। তবে সব কথার শেষ কথা হলো আপনাকে অবশ্যই স্মার্টলি ও একটু টেকনিকাল হতে হবে যাতে করে বুঝে পোস্ট করতে হবে কাস্টমারকে কখন কোনটা দিলে তারা এংগেজড হবে। শীত কালে যদি গরম কালের টিপস দেন তবে কিন্ত আপনার নেগেটিভ ইমেজ তৈরি হবে৷ সো, শুরু করে দিন আপনার অর্গানিক মার্কেটিং এর জার্নি আজই। 

যদি হাতে কলমে কাজ শিখে নিজেকে মার্কেটে স্টাবলিশ করতে চান তবে এখনি এনরোল করে ফেলুন আমার প্রিমিয়াম কোর্স:

​​​​​”Digital Marketing RoadMap” এ…

Share:

"ইফেক্টিভ ফানেল স্ট্রেটিজি" ফ্রি ইবুকটি ডাউনলোড করতে নিচের ফর্মটি ফিলাপ করুন

আরো ব্লগ

লিড জেনারেশন করলে অডিয়েন্স থাকবে হাতের মুঠোয়!!

আমরা যারা অনলাইনে বিজনেস করি আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা ম্যাসেঞ্জারে ক্লায়েন্টের সাথে ডিল ক্লোজ করতে পারি না। আমরা ম্যাসেজ তো পাই হাজারে

ভিসিবিলিটি ইজ মোর ইম্পরটেন্ট দ্যান এভেইলেবেলিটি

চা খেতে বের হয়েছিলাম। প্রথম চুমুক টা দিতেই অপর পাশের মুদি দোকানে চোখ গেলো। একজন লোক শার্ট প্যান্ট ইন করে তেলের বোতল গোছাচ্ছে। মোটামুটি ১৫/২০

লগরিদম ভাল না লাগলেও আপনাকে এলগরিদম জানাই লাগবে!!

আমরা যারা ফেসবুকের এডভারটাইজমেন্ট নিয়ে কাজ করি আমাদের সব থেকে বড় প্রব্লেমটা কি জানেন?  প্রব্লেমটা হলো আমরা লাখ লাখ টাকার এড  ফেসবুকে ঠিকই চালাই কিন্তু

আই লেভেল ইজ বায় লেভেল!

ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে, Where there is will, There is a way. আর তাই কাস্টমারের সোস্যাল বিহেভিয়ার বা পারচেজ বিহেভিয়ারে প্রভাব ফেলতে দিনের পর দিন